বিশ্বের সকল কৃষি এবং কৃষির সাথে যুক্ত সকলকেই শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের এই কনটেন্ট লেখা শুরু করছি। আজ আমি আলোচনা করব বিনা টমেটো-১২ চাষ পদ্ধতি ও পরিচর্যা বা রোগবালাই ও দমন ব্যবস্থাপনা নিয়ে।
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে বিনা টমেটো-১২ চাষ পদ্ধতি ও পরিচর্যা বা রোগবালাই ও দমন ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করব। এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন।
বিনা টমেটো-১২ চাষ পদ্ধতি ও পরিচর্যা
বৈশিষ্ট্য : শীতকালে চাষযোগ্য। উচ্চ ফলনশীল। গাছ লম্বাকৃতি। ফল সুস্বাদু। ফল মাঝারী আকৃতির এবংডিম্বাকার। পাকা অবস্থায় ফলের রং হলুদাফ লাল হয়। জীবনকাল ৭০-৮০ দিন। ফলন গড় ফলন ৯০-৯৫ টন।
উপযোগী এলাকা : বিনা টমেটো-১২ রোগবালাই ও দমন ব্যবস্থাপনা
প্রায় সব ধরনের জমিতেই বিনাটমেটো-১১ চাষ করা যায়। তবে বেলে দোআঁশ মাটি সবচেয়ে উপযোগী। যেহেতু টমেটোর গাছ জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না তাই পানি জমে থাকে না এরম্নপ জমি নির্বাচন করতে হবে।
বপনের সময় : বিনা টমেটো-১২ চাষ পদ্ধতি ও পরিচর্যা
আগাম শীতকালীন চাষাবাদের জন্য ভাদ্র মাসের প্রথম হতে তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে বীজতলা তৈরী করতে হবে। শীতকালীন চাষাবাদের জন্য আশ্বিন মাসে বীজতলা তৈরী করতে হবে। আর নাবী শীতকালীন চাষাবাদের জন্য মাঘ মাসে বীজতলা তৈরী করতে হবে।
বীজতলা তৈরীর সময়ঃ বিনা টমেটো-১২ চাষ পদ্ধতি ও পরিচর্যা
আগাম শীতকালীন চাষাবাদের জন্য ভাদ্র মাসের প্রথম হতে তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে বীজতলা তৈরী করতে হবে। শীতকালীন চাষাবাদের জন্য আশ্বিন মাসে বীজতলা তৈরী করতে হবে। আর নাবী শীতকালীন চাষাবাদের জন্য মাঘ মাসে বীজতলা তৈরী করতে হবে।
বীজতলা তৈরীঃ বিনা টমেটো-১২ চাষ পদ্ধতি ও পরিচর্যা
আগাম শীতকালীন চাষাবাদের জন্য ভাদ্র-আশ্বিন মাসে বৃষ্টি হয় বিধায় টিনের তৈরী ট্রেতে বীজতলা তৈরী করতে পারেন অথবা সাদা পলিথিন ছাউনির ব্যবস্থা সাপেক্ষে মাঠে বীজতলা তৈরী করতে পারেন। তবে বীজতলা অবশ্যই ভূমি হতে ৬-১০ ইঞ্চি উঁচু হতে হবে এবং বীজতলা চারিপার্শে ড্রেনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন চাষাবাদের ক্ষেত্রে বীজতলা উপর ছাউনির দেয়ার প্রয়োজন নেই। অনেক ক্ষেত্রে টমেটোর বীজ বপন করার পর পিপঁড়ায় বীজ নিয়ে যায় ফলে অঙকুরোদগম কম হয়। তাই সর্তকতা স্বরুপ বীজতলায় সেভিন ডাস্ট কীটনাশক ছিটিয়ে দিলে ঝুকি থাকে না।
পরিচর্যাঃ বিনা টমেটো-১২ চাষ পদ্ধতি ও পরিচর্যা
জমির অবস্থাভেদে প্রয়োজনবোধে গাছে হালকা সেচ দিতে হবে। আগাছা হলে নিড়ানী দিয়ে হালকাভাবে আগাছা পরিস্কার করতে হবে একই সময় মাটি ঝুরঝুরে করে দিতে হবে।
- চারা লাগানোর ১৫-২০ দিন পর বাঁশের তৈরী কাঠি দ্বারা ঠেকনা দিতে হবে অথবা খড়/কচুরিপানার দ্বারা মারচিং করে দিতে হবে। তবে গ্রীষ্মকালে চাষাবাদের ক্ষেত্রে খড়/কচুরিপানার দ্বারা মালচিং করা যাবে না।
- মাড়াইয়ের সময়: ৭০-৮০ দিন।
- বপন/ রোপনের দূরত্ব: ২৫-৩০ দিন বয়সের চারা রোপনের উপযুক্ত। সারি হতে সারি এবং গাছ হতে গাছের দূরত্ব ৫০ সেন্টিমিটার হতে হবে। চারা লাগানো সংগে সংগে পানি দিতে হবে।
চারা লাগানোর প্রথম ২৪ ঘন্টায় কমপক্ষে ৩ বার চারার গোড়ায় পানি দিলে সবচেয়ে ভাল হয়। জমিতে পর্যাপ্ত ড্রেনের ব্যবস্থা্ থাকতে হবে যাতে সেচ বা বৃষ্টির পানি জমে থাকতে না পারে।
ফলন: ফলন গড় ফলন ৯০-৯৫ টন।
রোগবালাই ও দমন ব্যবস্থা - বিনা টমেটো-১২ চাষ পদ্ধতি ও পরিচর্যা
রোগবালাই:
দমন ব্যবস্থা: ভাইরাস রোগের হাত থেকে রক্ষার জন্য ১০-১৫ দিন অন্তর অন্তর ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি স্প্রে করতে হবে। এ ব্যবস্থা প্রথম ফল পাকার পূর্ব পর্যন্ত চালু রাখতে হবে। পাতা পঁচা রোগ (লেইট ব্লাইট) থেকে গাছকে রক্ষার জন্য ফুল আসার ঠিক পূর্ব থেকে ১৫ দিন অন্তর অন্তর তিনবার ডাইথেন-এম ৪৫ অথবা রিডোমিল এমজেড অনুমোদিত মাত্রা অনুসারে প্রয়োগ করতে হবে।
টমেটোর গাছ ঢলে পড়া রোগ (উইল্ট) থেকে রক্ষার জন্য ক্ষেতের মাটি যাতে সেতসেতে না থাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
পোকামাকড় ও দমন ব্যবস্থা - বিনা টমেটো-১২ চাষ পদ্ধতি ও পরিচর্যা
পোকামাকড়:
- দমন ব্যবস্থা: বিনা টমেটো-১২ চাষ পদ্ধতি ও পরিচর্যা
- এ জাতটি অনুমোদিত হওয়ার পূর্বে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। দীর্ঘ সময়ের মধ্যে তেমন কোন ক্ষতিকারক পোকা-মাকড়ের আক্রমণ ঘটেনি।
- টমেটোর ফলছিদ্রকারী পোকা, পাতা সুড়ঙ্গকারী পোকা বিনা টমেটো-১২ চাষ পদ্ধতি ও পরিচর্যা
দমন ব্যবস্থা: বিনা টমেটো-১২ চাষ পদ্ধতি ও পরিচর্যা
সাদা মাছি পোকা : রোগবালাই ও দমন ব্যবস্থাপনা
১। সহনশীল জাত যেমন বারি উদ্ভাবিত টিএলবি ১৩০, টিএলবি ১৮২ চাষ করা।
২। এক কেজি আধা ভাঙ্গা নিম বীজ ১০ লিটার পানিতে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে উক্ত পানি পাতার নীচের দিকে স্প্রে করা।
৩। বীজতলা মশারীর নেট দিয়ে ঢেকে রাখা।
৪। হলুদ রংয়ের ফাঁদ ব্যবহার করা।
৫। আক্রমণের মাত্রা বেশী হলে সর্বশেষ ব্যবস্থা হিসেবে ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি জাতীয় কীটনাশক (প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি পরিমাণ) অথবা এডমায়ার ২০০ এস এল (প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি পরিমাণ) মিশিয়ে স্প্রে করা। তবে ঘন ঘন কীটনাশক ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ এর ফলে এ পোকা কীটনাশকের প্রতি দ্রুত সহনশীলতা গড়ে তোলে।
টমেটোর ফলছিদ্রকারী পোকা : বিনা টমেটো-১২ চাষ পদ্ধতি ও পরিচর্যা
১। পাকা সহ আক্রান্ত ফল হাত বাছাই করে মেরে ফেলা।
২। এক কেজি আধা ভাঙ্গা নিম বীজ ১০ লিটার পানিতে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে উক্ত পানি স্প্রে করা।
৩। সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করা।
৪। আক্রমণের হার অত্যন্ত বেশী হলে সাইপারমেথ্রিন ৪০ ইসি জাতীয় কীটনাশক (প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি পরিমাণ) স্প্রে করা।
পাতা সুড়ঙ্গকারী পোকা: রোগবালাই ও দমন ব্যবস্থাপনা
১। আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংস করা।
২। আঠাল হলুদ ফাঁদ ব্যবহার করে এদেরকে আকৃষ্ট করে মেরে ফেলা।
৩। নিমতেল ৫ মিলি + ৫ মিলি ট্রিকস্ প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে পতায় স্প্রে করলে এ পোকার আক্রমণ হ্রাস পায়।
৪। আক্রমণের তীব্রতা বেশী হলে সবশেষ হিসেবে অনুমোদিত কীটনাশক স্প্রে করা।
রোগবালাই ও দমন ব্যবস্থাপনা - সার ব্যবস্থাপনা
টমেটোর জন্য গোবর সার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যথেষ্ট পরিমাণ গোবর সার না দিলে ফলন অর্ধেক হতে পারে। একরে সারের পরিমাণ হলোঃ ইউরিয়া ১৩০ কেজি, টিএসপি ১১০ কেজি, এমপি ১০০ কেজি এবং গোবর ৪-৫ টন। শেষ চাষের সময় নির্ধারিত পরিমাণ গোবর ও টিএসপি এবং অর্ধেক পরিমাণ এমপি সার প্রয়োগ করতে হবে। বাকী এমপি চারা লাগানোর ৩০-৩৫ দিন পর অর্থাৎ ফুল আসার সময় প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সমান দুভাগ করে চারা লাগানোর ১৫ ও ৪০ দিন পর প্রয়োগ করতে হবে।
আধুনিক ও প্রচলিত কৃষি প্রযুক্তি + সার সংযোজন: ৫০ প্রশ্ন-উত্তর
অংশ–১: আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি (২৫ প্রশ্ন-উত্তর)
১. প্রশ্ন: আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যন্ত্রপাতি, ডিজিটাল টুলস ও নতুন কৃষি পদ্ধতির সমন্বয়কেই আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি বলা হয়।
২. প্রশ্ন: আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির প্রধান সুবিধা কী?
উত্তর: উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, সময় ও শ্রম সাশ্রয়, খরচ কমানো, মানসম্মত পণ্য উৎপাদন।
৩. প্রশ্ন: ড্রিপ সেচ প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে?
উত্তর: পাইপলাইনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট গাছে ধীরে ধীরে পানি পৌঁছায়, ফলে পানি অপচয় হয় না।
৪. প্রশ্ন: হাইড্রোপনিক্স কী?
উত্তর: মাটি ছাড়া শুধু পুষ্টি-সমৃদ্ধ পানিতে ফসল চাষ করাকে হাইড্রোপনিক্স বলা হয়।
৫. প্রশ্ন: গ্রিনহাউস চাষের সুবিধা কী?
উত্তর: নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে সারা বছর যেকোনো ফসল উৎপাদন সম্ভব হয়।
৬. প্রশ্ন: আধুনিক কৃষিতে ড্রোনের ব্যবহার কী?
উত্তর: ড্রোন দিয়ে সার, কীটনাশক ছিটানো, ফসলের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ ও ম্যাপ তৈরি করা হয়।
৭. প্রশ্ন: সেন্সর-ভিত্তিক কৃষি কীভাবে কাজ করে?
উত্তর: সেন্সর মাটি, আর্দ্রতা, তাপমাত্রা ও পুষ্টি পর্যবেক্ষণ করে তথ্য দেয়।
৮. প্রশ্ন: আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে কৃষকের কোন সমস্যা কমে?
উত্তর: শ্রমিক সংকট, সময়ের অপচয় ও উচ্চ উৎপাদন খরচ কমে যায়।
৯. প্রশ্ন: আধুনিক কৃষিতে মোবাইল অ্যাপস কী কাজে লাগে?
উত্তর: আবহাওয়া পূর্বাভাস, বাজারদর, ফসল চাষের পরামর্শ ও রোগবালাই নির্ণয়ে সাহায্য করে।
১০. প্রশ্ন: প্রিসিশন এগ্রিকালচার কী?
উত্তর: সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় সার, পানি ও কীটনাশক প্রয়োগ করাই প্রিসিশন এগ্রিকালচার।
১১. প্রশ্ন: টিস্যু কালচার কী কাজে লাগে?
উত্তর: রোগমুক্ত, দ্রুত বর্ধনশীল ও মানসম্মত চারা উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
১২. প্রশ্ন: অর্গানিক কৃষি কেন জনপ্রিয় হচ্ছে?
উত্তর: স্বাস্থ্যকর খাদ্য উৎপাদন, পরিবেশ রক্ষা ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার কারণে।
১৩. প্রশ্ন: স্মার্ট ফার্মিং কী?
উত্তর: আইওটি, সেন্সর, ড্রোন, সফটওয়্যার ইত্যাদি ব্যবহার করে কৃষিকে প্রযুক্তিনির্ভর করা।
১৪. প্রশ্ন: সোলার সেচ পাম্পের সুবিধা কী?
উত্তর: বিদ্যুৎ বা ডিজেল ছাড়াই সৌরশক্তি দিয়ে সেচ দেওয়া যায়।
১৫. প্রশ্ন: মিনি কম্বাইন হারভেস্টার কী কাজে লাগে?
উত্তর: ধান, গম কাটাই, মাড়াই ও ঝাড়াই একসাথে করতে ব্যবহৃত হয়।
১৬. প্রশ্ন: ভার্টিকাল ফার্মিং কী?
উত্তর: সীমিত জায়গায় উল্লম্বভাবে বিভিন্ন স্তরে ফসল উৎপাদন করা।
১৭. প্রশ্ন: বায়োটেকনোলজি কীভাবে কৃষিতে সাহায্য করে?
উত্তর: উন্নত জাত উদ্ভাবন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
১৮. প্রশ্ন: আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে পরিবেশ কীভাবে রক্ষা হয়?
উত্তর: পানি, সার ও কীটনাশকের অপচয় কমে পরিবেশ দূষণ হ্রাস পায়।
১৯. প্রশ্ন: লেজার লেভেলিং কী?
উত্তর: লেজার প্রযুক্তি দিয়ে জমি সমান করা হয়, ফলে সেচ ও সার সমানভাবে বিতরণ হয়।
২০. প্রশ্ন: আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ কী?
উত্তর: উচ্চ খরচ, প্রযুক্তি জ্ঞান ঘাটতি ও অবকাঠামোর অভাব।
২১. প্রশ্ন: কৃষিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) কীভাবে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: ফসলের রোগ শনাক্তকরণ, উৎপাদন পূর্বাভাস ও বাজার বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়।
২২. প্রশ্ন: মেকানাইজড চাষাবাদের মূল সুবিধা কী?
উত্তর: দ্রুত জমি প্রস্তুত ও শ্রম খরচ কমানো।
২৩. প্রশ্ন: প্লাস্টিক মালচিং কী কাজে লাগে?
উত্তর: আগাছা দমন, পানি ধরে রাখা ও মাটির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা।
২৪. প্রশ্ন: স্মার্ট গ্রিনহাউস কী?
উত্তর: স্বয়ংক্রিয় তাপমাত্রা, আলো ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রিত গ্রিনহাউস।
২৫. প্রশ্ন: কৃষিতে GIS প্রযুক্তি কী কাজে লাগে?
উত্তর: জমির মানচিত্র তৈরি, মাটির গুণাগুণ বিশ্লেষণ ও সঠিক ফসল পরিকল্পনা করতে।
অংশ–২: সার সংযোজন ও মাটির উর্বরতা (২৫ প্রশ্ন-উত্তর)
২৬. প্রশ্ন: সার সংযোজন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: ফসলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে উৎপাদনশীলতা বাড়ায়।
২৭. প্রশ্ন: মাটির উর্বরতা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: মাটির সেই ক্ষমতা, যা গাছকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে।
২৮. প্রশ্ন: সার কত প্রকার?
উত্তর: রাসায়নিক সার, জৈব সার ও জৈবিক সার (বায়োফার্টিলাইজার)।
২৯. প্রশ্ন: ইউরিয়ার কাজ কী?
উত্তর: গাছে নাইট্রোজেন সরবরাহ করে শাকসবজির বৃদ্ধি বাড়ায়।
৩০. প্রশ্ন: টিএসপি সার কী কাজে লাগে?
উত্তর: গাছে ফসফরাস সরবরাহ করে, মূল ও ফুল গঠনে সাহায্য করে।
৩১. প্রশ্ন: এমওপি সারের কাজ কী?
উত্তর: গাছে পটাশ সরবরাহ করে, ফলে দানা ও ফলের মান ভালো হয়।
৩২. প্রশ্ন: জৈব সার ব্যবহারের সুবিধা কী?
উত্তর: মাটির জৈব পদার্থ বৃদ্ধি, পরিবেশ দূষণ কমানো ও দীর্ঘমেয়াদি উর্বরতা।
৩৩. প্রশ্ন: কম্পোস্ট সার কীভাবে তৈরি হয়?
উত্তর: জৈব বর্জ্য যেমন গোবর, পাতা, ফসলের অবশিষ্টাংশ পচিয়ে তৈরি হয়।
৩৪. প্রশ্ন: ভার্মি কম্পোস্ট কী?
উত্তর: কেঁচো দিয়ে জৈব বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি জৈব সার।
৩৫. প্রশ্ন: সবুজ সার কী?
উত্তর: জমিতে ডাল জাতীয় গাছ চাষ করে তা মাটিতে মিশিয়ে জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা।
৩৬. প্রশ্ন: বায়োফার্টিলাইজার কী?
উত্তর: অণুজীবভিত্তিক সার, যা নাইট্রোজেন স্থিতিশীল করে মাটিকে উর্বর করে।
৩৭. প্রশ্ন: সঠিক সার ব্যবহারের নিয়ম কী?
উত্তর: মাটির পরীক্ষা অনুযায়ী নির্ধারিত মাত্রায়, সঠিক সময়ে ও সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে হবে।
৩৮. প্রশ্ন: মাটির পরীক্ষা কেন জরুরি?
উত্তর: মাটিতে কোন পুষ্টি কম বা বেশি আছে তা জানা যায়।
৩৯. প্রশ্ন: অতিরিক্ত সার ব্যবহার করলে কী হয়?
উত্তর: মাটির ক্ষতি, পানি দূষণ, পরিবেশ দূষণ ও উৎপাদন কমে যায়।
৪০. প্রশ্ন: তরল জৈব সার কী?
উত্তর: পচানো জৈব পদার্থ ও অণুজীব থেকে তৈরি তরল সার।
৪১. প্রশ্ন: ফোলিয়ার ফার্টিলাইজেশন কী?
উত্তর: পাতার ওপর স্প্রে করে সার প্রয়োগ।
৪২. প্রশ্ন: সুষম সার প্রয়োগ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: সব ধরনের পুষ্টি সঠিক অনুপাতে দিলে ফসল স্বাস্থ্যকর হয়।
৪৩. প্রশ্ন: ফসলভেদে সার ব্যবহারের পার্থক্য কেন থাকে?
উত্তর: প্রতিটি ফসলের পুষ্টির চাহিদা ভিন্ন।
৪৪. প্রশ্ন: অর্গানিক সার ব্যবহার করলে ফলনের কী প্রভাব পড়ে?
উত্তর: প্রথমে ধীরে ফলন বাড়ে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে জমির স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
৪৫. প্রশ্ন: রাসায়নিক সার ও জৈব সার একসাথে ব্যবহার করা যায় কি?
উত্তর: হ্যাঁ, এতে জমি উর্বর থাকে ও ফসলের উৎপাদনও বাড়ে।
৪৬. প্রশ্ন: ড্রিপ সেচে সার প্রয়োগকে কী বলে?
উত্তর: ফার্টিগেশন।
৪৭. প্রশ্ন: মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সার কী?
উত্তর: দস্তা, লৌহ, তামা, মলিবডেনাম প্রভৃতি ক্ষুদ্র উপাদানযুক্ত সার।
৪৮. প্রশ্ন: ভারসাম্যহীন সার ব্যবহারে কী সমস্যা হয়?
উত্তর: গাছের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, রোগবালাইয়ের ঝুঁকি ও ফলনের ক্ষতি।
৪৯. প্রশ্ন: সার প্রয়োগের সেরা সময় কখন?
উত্তর: বপন/রোপণের আগে ও ফসলের বৃদ্ধির নির্দিষ্ট পর্যায়ে।
৫০. প্রশ্ন: ভবিষ্যতে টেকসই কৃষির জন্য কেমন সার ব্যবস্থাপনা জরুরি?
উত্তর: রাসায়নিক ও জৈব সারের সুষম ব্যবহার, মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পরিবেশবান্ধব সার সংযোজন।
ফসলের রোগ-বালাই ও তার মোকাবিলা: ৫০ প্রশ্ন-উত্তর
অংশ–১: ফসলের সাধারণ রোগ (২৫ প্রশ্ন-উত্তর)
১. প্রশ্ন: ফসলের রোগ কী?
উত্তর: গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি, বিকাশ ও ফলনে ব্যাঘাত ঘটানো যে কোনো অস্বাভাবিক অবস্থা।
২. প্রশ্ন: ফসলের রোগ সাধারণত কিসের কারণে হয়?
উত্তর: ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, নিমাটোড ও পরিবেশগত কারণে।
৩. প্রশ্ন: ধানের ব্লাস্ট রোগ কী কারণে হয়?
উত্তর: Pyricularia oryzae নামক ছত্রাকের কারণে।
৪. প্রশ্ন: ধানে ব্লাস্ট রোগের প্রতিকার কী?
উত্তর: প্রতিরোধী জাত ব্যবহার, ভারসাম্যপূর্ণ সার প্রয়োগ ও প্রয়োজনীয় ফাঙ্গিসাইড প্রয়োগ।
৫. প্রশ্ন: গমে পাতাঝরা রোগের লক্ষণ কী?
উত্তর: পাতায় বাদামি দাগ, পরে শুকিয়ে ঝরে যায়।
৬. প্রশ্ন: আলুর লেট ব্লাইট রোগের কারণ কী?
উত্তর: Phytophthora infestans নামক ছত্রাক।
৭. প্রশ্ন: আলুর লেট ব্লাইট নিয়ন্ত্রণ কিভাবে সম্ভব?
উত্তর: রোগমুক্ত বীজ, সঠিক দূরত্ব বজায় রাখা ও ফাঙ্গিসাইড স্প্রে করা।
৮. প্রশ্ন: টমেটোতে মোজাইক ভাইরাসের লক্ষণ কী?
উত্তর: পাতায় সবুজ-হলুদ ছোপ, বিকৃত বৃদ্ধি।
৯. প্রশ্ন: মোজাইক ভাইরাস প্রতিরোধের উপায় কী?
উত্তর: রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার, কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধী জাত চাষ।
১০. প্রশ্ন: বেগুনে শুকনো রোগ কীভাবে চেনা যায়?
উত্তর: গাছ হঠাৎ শুকিয়ে মরে যায়, কাণ্ডে বাদামি দাগ দেখা যায়।
১১. প্রশ্ন: বেগুনে শুকনো রোগের প্রতিকার কী?
উত্তর: রোগমুক্ত চারা, মাটির জীবাণুমুক্তকরণ ও ফাঙ্গিসাইড প্রয়োগ।
১২. প্রশ্ন: পেঁয়াজে পার্পল ব্লচ রোগ কী কারণে হয়?
উত্তর: Alternaria porri নামক ছত্রাক।
১৩. প্রশ্ন: পেঁয়াজের পার্পল ব্লচ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে করা যায়?
উত্তর: রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার ও প্রয়োজনে ফাঙ্গিসাইড স্প্রে।
১৪. প্রশ্ন: আমে গুটি বা পাউডারি মিলডিউ কী?
উত্তর: পাতায় সাদা গুঁড়োর মতো আস্তরণ হয়, পরে ফল বিকৃত হয়।
১৫. প্রশ্ন: পাউডারি মিলডিউ দমন কিভাবে হয়?
উত্তর: সালফারযুক্ত ফাঙ্গিসাইড স্প্রে করা ও আক্রান্ত অংশ অপসারণ।
১৬. প্রশ্ন: লিচুতে ডাইব্যাক রোগের কারণ কী?
উত্তর: ছত্রাক (Phomopsis spp.)।
১৭. প্রশ্ন: লিচুর ডাইব্যাক প্রতিকার কী?
উত্তর: আক্রান্ত ডাল কেটে ফেলা ও ফাঙ্গিসাইড প্রয়োগ।
১৮. প্রশ্ন: কলায় পানা মারা রোগ কী?
উত্তর: পাতার গোড়া থেকে শুকিয়ে গাছ মারা যায়, ফিউজারিয়াম ছত্রাকের কারণে।
১৯. প্রশ্ন: কলার পানা মারা রোগ দমন কিভাবে সম্ভব?
উত্তর: প্রতিরোধী জাত চাষ, রোগমুক্ত চারা ব্যবহার ও মাটির স্যানিটেশন।
২০. প্রশ্ন: পেয়ারা উইল্ট রোগের লক্ষণ কী?
উত্তর: গাছ হঠাৎ ঝরে পড়ে, কাণ্ডের ভেতরে বাদামি দাগ হয়।
২১. প্রশ্ন: পেয়ারা উইল্ট প্রতিরোধ কীভাবে করা যায়?
উত্তর: গাছের গোড়ায় পানি জমতে না দেওয়া ও মাটি জীবাণুমুক্ত করা।
২২. প্রশ্ন: মরিচে অ্যানথ্রাকনোজ রোগ কী?
উত্তর: ফলে কালো দাগ পড়ে ও দ্রুত পচে যায়।
২৩. প্রশ্ন: অ্যানথ্রাকনোজ রোগের প্রতিকার কী?
উত্তর: রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার ও ছত্রাকনাশক প্রয়োগ।
২৪. প্রশ্ন: পাটে মড়ক রোগের কারণ কী?
উত্তর: ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ।
২৫. প্রশ্ন: পাটের মড়ক রোগ দমন কিভাবে হয়?
উত্তর: সঠিক বীজ নির্বাচন ও জমির স্যানিটেশন।
অংশ–২: রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কৌশল (২৫ প্রশ্ন-উত্তর)
২৬. প্রশ্ন: ফসলের রোগ প্রতিরোধের প্রধান উপায় কী?
উত্তর: রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার, প্রতিরোধী জাত চাষ ও সঠিক কৃষি ব্যবস্থাপনা।
২৭. প্রশ্ন: জৈবিক পদ্ধতিতে রোগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে করা যায়?
উত্তর: ট্রাইকোডার্মা, ব্যাসিলাস জাতীয় অণুজীব ব্যবহার করে।
২৮. প্রশ্ন: কীটপতঙ্গ কীভাবে রোগ ছড়ায়?
উত্তর: অনেক ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া পোকা-মাকড়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়।
২৯. প্রশ্ন: ফসলের রোগে আবহাওয়ার ভূমিকা কী?
উত্তর: আর্দ্রতা, বৃষ্টি ও তাপমাত্রা রোগ বিস্তারে বড় ভূমিকা রাখে।
৩০. প্রশ্ন: বীজ শোধন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: বীজে থাকা রোগজীবাণু ধ্বংস হয়।
৩১. প্রশ্ন: প্রতিরোধী জাত বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যে জাত নির্দিষ্ট রোগ বা পোকায় আক্রান্ত হয় না বা কম হয়।
৩২. প্রশ্ন: ফসল পর্যায়ক্রম চাষ কেন জরুরি?
উত্তর: একই ফসলে একই রোগজীবাণু টিকে থাকতে পারে, তাই পর্যায়ক্রম রোগ কমায়।
৩৩. প্রশ্ন: জমির স্যানিটেশন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: আগের ফসলের অবশিষ্টাংশ ও আক্রান্ত অংশ পরিষ্কার রাখা।
৩৪. প্রশ্ন: জৈব কীটনাশক দিয়ে রোগ কমানো যায় কীভাবে?
উত্তর: নিম, রসুন, মরিচ ইত্যাদি থেকে তৈরি জৈব কীটনাশক রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
৩৫. প্রশ্ন: ফসলের সুষম সার প্রয়োগে রোগ কমে কেন?
উত্তর: গাছ সবল হয় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৩৬. প্রশ্ন: আক্রান্ত গাছ ফেলে দেওয়া কেন জরুরি?
উত্তর: যাতে রোগ সুস্থ গাছে ছড়াতে না পারে।
৩৭. প্রশ্ন: আবহাওয়া পূর্বাভাস কীভাবে রোগ দমন সাহায্য করে?
উত্তর: আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা জানা থাকলে আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
৩৮. প্রশ্ন: জৈব সার ব্যবহার করলে রোগ কেন কম হয়?
উত্তর: মাটির অণুজীব সক্রিয় থাকে ও রোগ প্রতিরোধ করে।
৩৯. প্রশ্ন: রোগ দমনে বালাইনাশক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম কী?
উত্তর: নির্ধারিত মাত্রায়, সঠিক সময়ে ও নিরাপদভাবে প্রয়োগ।
৪০. প্রশ্ন: ফসলের রোগে ইন্টিগ্রেটেড ম্যানেজমেন্ট বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: সাংস্কৃতিক, জৈবিক ও রাসায়নিক পদ্ধতি মিলিয়ে রোগ নিয়ন্ত্রণ।
৪১. প্রশ্ন: রোগ প্রতিরোধে মালচিংয়ের ভূমিকা কী?
উত্তর: মাটি থেকে ছত্রাকের সংক্রমণ কমায়।
৪২. প্রশ্ন: রোগ প্রতিরোধে পানি ব্যবস্থাপনা কতটা জরুরি?
উত্তর: অতিরিক্ত আর্দ্রতা রোগ ছড়ায়, তাই পানি নিয়ন্ত্রণ দরকার।
৪৩. প্রশ্ন: গ্রীনহাউসে রোগ নিয়ন্ত্রণ সহজ কেন?
উত্তর: নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে রোগজীবাণুর বিস্তার সীমিত থাকে।
৪৪. প্রশ্ন: বীজতলায় রোগ নিয়ন্ত্রণের সেরা উপায় কী?
উত্তর: জীবাণুমুক্ত মাটি, রোগমুক্ত বীজ ও সঠিক পানি ব্যবস্থাপনা।
৪৫. প্রশ্ন: ভাইরাসজনিত রোগের কোনো ওষুধ আছে কি?
উত্তর: না, শুধু প্রতিরোধই একমাত্র উপায়।
৪৬. প্রশ্ন: ছত্রাকনাশক কীভাবে ব্যবহার করতে হয়?
উত্তর: লেবেল নির্দেশনা অনুযায়ী মিশিয়ে ও স্প্রে করে।
৪৭. প্রশ্ন: ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণে কী কার্যকর?
উত্তর: তামাযুক্ত কীটনাশক।
৪৮. প্রশ্ন: বায়োকন্ট্রোল এজেন্ট কী?
উত্তর: উপকারী অণুজীব, যা রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে।
৪৯. প্রশ্ন: ফসল কাটার পর রোগ দমন কেন জরুরি?
উত্তর: যাতে রোগজীবাণু পরের মৌসুমে না থাকে।
৫০. প্রশ্ন: ভবিষ্যতে রোগ ব্যবস্থাপনার কৌশল কেমন হওয়া উচিত?
উত্তর: জৈবিক ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিনির্ভর সমন্বিত রোগ ব্যবস্থাপনা।
বাজারজাতকরণ ও কৃষিবিষয়ক গবেষণা: ৫০ প্রশ্ন-উত্তর
অংশ–১: কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণ (২৫ প্রশ্ন-উত্তর)
১. প্রশ্ন: বাজারজাতকরণ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: কৃষিপণ্য উৎপাদনের পর ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর প্রক্রিয়াই বাজারজাতকরণ।
২. প্রশ্ন: কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: কৃষকের ন্যায্য দাম নিশ্চিত, অপচয় কমানো ও ভোক্তার কাছে মানসম্মত পণ্য পৌঁছানো।
৩. প্রশ্ন: কৃষিপণ্যের ভ্যালু চেইন কী?
উত্তর: উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তার কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত প্রতিটি ধাপের কার্যক্রম।
৪. প্রশ্ন: ভ্যালু অ্যাডিশন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত বা সংরক্ষণ করে এর মূল্য বাড়ানো।
৫. প্রশ্ন: কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণের প্রধান চ্যালেঞ্জ কী?
উত্তর: সংরক্ষণের অভাব, পরিবহন সমস্যা, দালালের দৌরাত্ম্য ও মূল্য অস্থিরতা।
৬. প্রশ্ন: কোল্ড স্টোরেজ কেন প্রয়োজন?
উত্তর: নষ্ট হয় এমন কৃষিপণ্য দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য।
৭. প্রশ্ন: কৃষিপণ্যের সরাসরি বিপণন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: কৃষক সরাসরি ভোক্তার কাছে পণ্য বিক্রি করে।
৮. প্রশ্ন: ডিজিটাল কৃষি মার্কেটপ্লেস কী?
উত্তর: অনলাইনে কৃষিপণ্য কেনা-বেচার প্ল্যাটফর্ম।
৯. প্রশ্ন: কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে কী করা দরকার?
উত্তর: মান নিয়ন্ত্রণ, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে প্রক্রিয়াজাতকরণ ও আধুনিক সংরক্ষণ ব্যবস্থা।
১০. প্রশ্ন: কৃষিপণ্য বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীর ভূমিকা কী?
উত্তর: পণ্য কৃষক থেকে কিনে বেশি দামে বিক্রি করা।
১১. প্রশ্ন: কৃষক কিভাবে মধ্যস্বত্বভোগীর উপর নির্ভরশীলতা কমাতে পারেন?
উত্তর: কৃষক সমবায় গঠন ও অনলাইন মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করে।
১২. প্রশ্ন: কৃষিপণ্যের ব্র্যান্ডিং কেন দরকার?
উত্তর: বাজারে আলাদা পরিচিতি তৈরি ও উচ্চমূল্যে বিক্রি নিশ্চিত করতে।
১৩. প্রশ্ন: কৃষি উদ্যোক্তা বাজারজাতকরণে কীভাবে ভূমিকা রাখে?
উত্তর: প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্যাকেজিং, বিপণন ও রপ্তানির মাধ্যমে।
১৪. প্রশ্ন: কৃষিপণ্যের চেইন ভ্যালুতে কৃষকের অবস্থান কেন দুর্বল?
উত্তর: তথ্য ঘাটতি, দর কষাকষির অক্ষমতা ও প্রযুক্তি ব্যবহারের সীমাবদ্ধতার কারণে।
১৫. প্রশ্ন: কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কী দরকার?
উত্তর: কৃষক পর্যায়ে বাজার তথ্যের সহজলভ্যতা ও সরকারি নিয়ন্ত্রণ।
১৬. প্রশ্ন: কৃষিপণ্যের সংরক্ষণ সমস্যা সমাধানে কী করা যেতে পারে?
উত্তর: কোল্ড চেইন তৈরি, হিমাগার ও আধুনিক গুদাম।
১৭. প্রশ্ন: কৃষিপণ্য পরিবহনে প্রধান সমস্যা কী?
উত্তর: দুর্বল অবকাঠামো ও সঠিক পরিবহন ব্যবস্থা না থাকা।
১৮. প্রশ্ন: কৃষিপণ্যের দাম ওঠানামা কেন হয়?
উত্তর: সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্যহীনতা।
১৯. প্রশ্ন: কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: সংরক্ষণকাল বাড়ানো ও বাজারে বাড়তি মূল্য পাওয়া যায়।
২০. প্রশ্ন: রপ্তানিযোগ্য কৃষিপণ্যের উদাহরণ কী?
উত্তর: আম, কাঁঠাল, চা, সবজি, ফুল ইত্যাদি।
২১. প্রশ্ন: কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে প্রযুক্তির ভূমিকা কী?
উত্তর: অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, মোবাইল অ্যাপস ও ই-কমার্স।
২২. প্রশ্ন: কৃষি পণ্যের সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট কেন জরুরি?
উত্তর: সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে পণ্য পৌঁছাতে।
২৩. প্রশ্ন: কৃষক সমবায় বাজারজাতকরণে কীভাবে সাহায্য করে?
উত্তর: একসাথে পণ্য বিক্রি করে ভালো দাম পাওয়া যায়।
২৪. প্রশ্ন: কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আন্তর্জাতিক বাজারের শর্ত কী?
উত্তর: মান নিয়ন্ত্রণ, ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট ও সঠিক প্যাকেজিং।
২৫. প্রশ্ন: কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণে ভবিষ্যতের দিক কোনটি?
উত্তর: ডিজিটালাইজড ও টেকসই মার্কেটিং সিস্টেম।
অংশ–২: কৃষিবিষয়ক গবেষণা (২৫ প্রশ্ন-উত্তর)
২৬. প্রশ্ন: কৃষিবিষয়ক গবেষণা কেন প্রয়োজন?
উত্তর: নতুন জাত উদ্ভাবন, প্রযুক্তি উন্নয়ন ও উৎপাদন বাড়াতে।
২৭. প্রশ্ন: বাংলাদেশে কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান কোনটি?
উত্তর: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (BARC)।
২৮. প্রশ্ন: কৃষি গবেষণার মূল লক্ষ্য কী?
উত্তর: কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও টেকসই কৃষি উন্নয়ন।
২৯. প্রশ্ন: নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন কিভাবে হয়?
উত্তর: হাইব্রিডাইজেশন, মিউটেশন ও বায়োটেকনোলজি।
৩০. প্রশ্ন: কৃষি গবেষণায় বায়োটেকনোলজির ভূমিকা কী?
উত্তর: রোগ প্রতিরোধী জাত তৈরি ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফসল উদ্ভাবন।
৩১. প্রশ্ন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গবেষণার গুরুত্ব কী?
উত্তর: খরা, বন্যা ও লবণাক্ততা সহনশীল জাত উদ্ভাবন।
৩২. প্রশ্ন: কৃষি গবেষণায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার কীভাবে হয়?
উত্তর: ডেটা বিশ্লেষণ, আবহাওয়া পূর্বাভাস ও স্মার্ট ফার্মিং টুলস।
৩৩. প্রশ্ন: কৃষি গবেষণায় রিমোট সেন্সিং কী কাজে লাগে?
উত্তর: ফসলের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ ও জমির মানচিত্র তৈরি।
৩৪. প্রশ্ন: কৃষি গবেষণায় মাটি পরীক্ষার ভূমিকা কী?
উত্তর: কোন মাটিতে কোন ফসল ভালো হবে তা নির্ধারণ।
৩৫. প্রশ্ন: কৃষি গবেষণা কিভাবে কৃষকের আয় বাড়ায়?
উত্তর: নতুন প্রযুক্তি ও জাতের মাধ্যমে ফলন বাড়িয়ে।
৩৬. প্রশ্ন: কৃষি গবেষণায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কেন দরকার?
উত্তর: উন্নত প্রযুক্তি ও জ্ঞান আদানপ্রদান।
৩৭. প্রশ্ন: কৃষি গবেষণা তথ্য কৃষকের কাছে কিভাবে পৌঁছায়?
উত্তর: সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মোবাইল অ্যাপস ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে।
৩৮. প্রশ্ন: কৃষি গবেষণায় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কীভাবে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: ফসলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে।
৩৯. প্রশ্ন: গবেষণার মাধ্যমে কৃষিতে কোন সাফল্য এসেছে?
উত্তর: উচ্চ ফলনশীল ধান, গম, ভুট্টা ও সবজির জাত উদ্ভাবন।
৪০. প্রশ্ন: কৃষি গবেষণায় অর্থায়নের প্রধান উৎস কী?
উত্তর: সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বেসরকারি খাত।
৪১. প্রশ্ন: কৃষি গবেষণায় পরীক্ষাগারের ভূমিকা কী?
উত্তর: রোগজীবাণু শনাক্ত, বীজ পরীক্ষা ও উন্নত জাত তৈরি।
৪২. প্রশ্ন: কৃষি গবেষণা ফলাফল মাঠে পৌঁছাতে কত সময় লাগে?
উত্তর: সাধারণত কয়েক বছর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর।
৪৩. প্রশ্ন: কৃষি গবেষণায় খামার পর্যায়ে কী করা হয়?
উত্তর: নতুন জাত ও প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষা করা।
৪৪. প্রশ্ন: কৃষি গবেষণার সীমাবদ্ধতা কী?
উত্তর: অর্থের অভাব, দক্ষ জনবল সংকট ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের ঘাটতি।
৪৫. প্রশ্ন: কৃষি গবেষণায় উদ্ভাবিত প্রযুক্তি টেকসই না হলে কী হয়?
উত্তর: কৃষক তা গ্রহণ করে না, ফলে ব্যর্থ হয়।
৪৬. প্রশ্ন: কৃষি গবেষণায় ড্রোন কীভাবে ব্যবহার হয়?
উত্তর: জমির অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও ফসলের বৃদ্ধি বিশ্লেষণে।
৪৭. প্রশ্ন: কৃষি গবেষণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: ডেটা-ভিত্তিক সিদ্ধান্ত ও পূর্বাভাস দিতে সক্ষম।
৪৮. প্রশ্ন: কৃষি গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা কী?
উত্তর: গবেষণা, নতুন উদ্ভাবন ও শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ।
৪৯. প্রশ্ন: কৃষি গবেষণার ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে?
উত্তর: স্মার্ট ফার্মিং, জিনোম এডিটিং ও টেকসই কৃষি প্রযুক্তি।
৫০. প্রশ্ন: কৃষি গবেষণা টেকসই উন্নয়নে কীভাবে সহায়ক?
উত্তর: পরিবেশবান্ধব, উৎপাদনশীল ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক কৃষি গড়ে তোলে।
অর্থনৈতিক দিক + কৃষি উদ্যোক্তা: ৫০ প্রশ্ন-উত্তর
অংশ–১: কৃষির অর্থনৈতিক দিক (২৫ প্রশ্ন-উত্তর)
১. প্রশ্ন: কৃষির অর্থনৈতিক দিক বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: কৃষি উৎপাদন, খরচ, লাভ-ক্ষতি ও বাজারের সাথে সম্পর্কিত দিকগুলোই অর্থনৈতিক দিক।
২. প্রশ্ন: কৃষি কেন দেশের অর্থনীতির ভিত্তি?
উত্তর: খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান ও রপ্তানি আয়ে বড় ভূমিকা রাখে।
৩. প্রশ্ন: কৃষি খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় কোন ক্ষেত্রে হয়?
উত্তর: বীজ, সার, কীটনাশক ও সেচ খাতে।
৪. প্রশ্ন: কৃষকের ন্যায্য দাম না পাওয়ার কারণ কী?
উত্তর: দালালের দৌরাত্ম্য, সংরক্ষণের অভাব ও বাজার নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতা।
৫. প্রশ্ন: কৃষিতে বিনিয়োগ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার, উৎপাদন বৃদ্ধি ও লাভ বাড়াতে।
৬. প্রশ্ন: কৃষিতে উৎপাদন খরচ কমানোর উপায় কী?
উত্তর: আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার, জৈব সার প্রয়োগ ও সঠিক পানি ব্যবস্থাপনা।
৭. প্রশ্ন: কৃষি ঋণের প্রধান উৎস কী?
উত্তর: সরকারি ব্যাংক, বেসরকারি ব্যাংক ও এনজিও।
৮. প্রশ্ন: কৃষক কেন সহজে ঋণ পায় না?
উত্তর: জামানতের অভাব, জটিল প্রক্রিয়া ও তথ্য ঘাটতির কারণে।
৯. প্রশ্ন: কৃষিতে সাবসিডি কেন দেওয়া হয়?
উত্তর: কৃষকের খরচ কমাতে ও উৎপাদন বাড়াতে।
১০. প্রশ্ন: কৃষিতে ঝুঁকি কী কী?
উত্তর: প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগবালাই, বাজারদর পতন ও নীতিগত পরিবর্তন।
১১. প্রশ্ন: কৃষি বিমা কেন প্রয়োজন?
উত্তর: ফসল ক্ষতির ঝুঁকি মোকাবিলা করতে।
১২. প্রশ্ন: কৃষি উৎপাদন খরচ কিভাবে হিসাব করা হয়?
উত্তর: জমি প্রস্তুতি, বীজ, সার, শ্রম ও অন্যান্য ব্যয়ের যোগফল।
১৩. প্রশ্ন: কৃষি থেকে আয় বাড়ানোর উপায় কী?
উত্তর: প্রক্রিয়াজাতকরণ, রপ্তানি, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও বহুমুখী চাষাবাদ।
১৪. প্রশ্ন: কৃষিতে বহুমুখী চাষাবাদ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: একাধিক উৎস থেকে আয় ও ঝুঁকি কমায়।
১৫. প্রশ্ন: কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ অর্থনীতিতে কী ভূমিকা রাখে?
উত্তর: সংরক্ষণকাল বাড়ায়, বাজারমূল্য বৃদ্ধি করে ও কর্মসংস্থান তৈরি করে।
১৬. প্রশ্ন: কৃষি শ্রমিক সংকটের অর্থনৈতিক প্রভাব কী?
উত্তর: উৎপাদন ব্যয় বাড়ে ও ফসল তোলায় দেরি হয়।
১৭. প্রশ্ন: কৃষি রপ্তানি বাড়াতে কী দরকার?
উত্তর: মানোন্নয়ন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ ও লজিস্টিক সুবিধা।
১৮. প্রশ্ন: কৃষি খাতের জিডিপি-তে অবদান কতটা?
উত্তর: বাংলাদেশে প্রায় ১২–১৫% (তথ্যভেদে পরিবর্তনশীল)।
১৯. প্রশ্ন: কৃষি খাতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের উপায় কী?
উত্তর: কৃষিপণ্য ও কৃষিভিত্তিক প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি।
২০. প্রশ্ন: কৃষি খাতে প্রযুক্তি ব্যবহার অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলে?
উত্তর: খরচ কমায়, উৎপাদনশীলতা বাড়ায় ও আয় বৃদ্ধি করে।
২১. প্রশ্ন: কৃষিতে টেকসই বিনিয়োগ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: পরিবেশবান্ধব, দীর্ঘমেয়াদি লাভজনক ও সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য বিনিয়োগ।
২২. প্রশ্ন: কৃষি অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী?
উত্তর: জলবায়ু পরিবর্তন ও বাজার অস্থিতিশীলতা।
২৩. প্রশ্ন: কৃষিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলে?
উত্তর: উৎপাদন বৃদ্ধি, আয় বৈচিত্র্য ও সামাজিক উন্নয়ন।
২৪. প্রশ্ন: কৃষি উৎপাদনশীলতা কিসের উপর নির্ভর করে?
উত্তর: জমির মান, প্রযুক্তি, শ্রম, আবহাওয়া ও পুঁজি।
২৫. প্রশ্ন: ভবিষ্যতের কৃষি অর্থনীতি কেমন হতে পারে?
উত্তর: প্রযুক্তিনির্ভর, ডিজিটালাইজড ও টেকসই কৃষি অর্থনীতি।
অংশ–২: কৃষি উদ্যোক্তা (২৫ প্রশ্ন-উত্তর)
২৬. প্রশ্ন: কৃষি উদ্যোক্তা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: কৃষি ও কৃষিভিত্তিক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে নতুন উদ্যোগ গ্রহণকারী ব্যক্তি।
২৭. প্রশ্ন: কৃষি উদ্যোক্তার প্রধান ক্ষেত্র কী কী?
উত্তর: ফসল উৎপাদন, পোল্ট্রি, মৎস্য, দুগ্ধ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রপ্তানি।
২৮. প্রশ্ন: কৃষি উদ্যোক্তা হওয়ার সুবিধা কী?
উত্তর: স্বাবলম্বিতা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন।
২৯. প্রশ্ন: কৃষি উদ্যোক্তা হতে কী ধরনের দক্ষতা দরকার?
উত্তর: ব্যবসা পরিকল্পনা, কৃষি প্রযুক্তি জ্ঞান, বিপণন দক্ষতা ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা।
৩০. প্রশ্ন: কৃষি উদ্যোক্তার জন্য মূলধনের উৎস কী?
উত্তর: ব্যাংক ঋণ, এনজিও, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও সরকারি প্রণোদনা।
৩১. প্রশ্ন: তরুণরা কৃষি উদ্যোক্তা হতে কেন আগ্রহী হচ্ছে?
উত্তর: কম খরচে বেশি আয়, প্রযুক্তি ব্যবহার ও আন্তর্জাতিক বাজারে সম্ভাবনা।
৩২. প্রশ্ন: কৃষি উদ্যোক্তা হতে প্রথম ধাপ কী?
উত্তর: একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্র নির্বাচন ও ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি।
৩৩. প্রশ্ন: কৃষি উদ্যোক্তাদের প্রধান সমস্যা কী?
উত্তর: মূলধন সংকট, বাজারে প্রবেশের সমস্যা ও প্রযুক্তি ঘাটতি।
৩৪. প্রশ্ন: কৃষি উদ্যোক্তা কিভাবে বাজারজাতকরণ উন্নত করে?
উত্তর: প্রক্রিয়াজাতকরণ, ব্র্যান্ডিং ও সরাসরি ভোক্তার কাছে পৌঁছে।
৩৫. প্রশ্ন: কৃষি উদ্যোক্তার মাধ্যমে গ্রামীণ উন্নয়ন কীভাবে হয়?
উত্তর: কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য হ্রাস ও অবকাঠামো উন্নয়ন।
৩৬. প্রশ্ন: কৃষি উদ্যোক্তা হতে প্রশিক্ষণের ভূমিকা কী?
উত্তর: দক্ষতা বৃদ্ধি, ঝুঁকি কমানো ও আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ।
৩৭. প্রশ্ন: সফল কৃষি উদ্যোক্তার উদাহরণ কী?
উত্তর: যারা স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কৃষিপণ্য রপ্তানি করে।
৩৮. প্রশ্ন: কৃষি উদ্যোক্তার জন্য সরকারি সহায়তা কী কী?
উত্তর: ভর্তুকি, সহজ ঋণ, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি সহায়তা।
৩৯. প্রশ্ন: নারী কৃষি উদ্যোক্তার গুরুত্ব কেন বেশি?
উত্তর: তারা কৃষি ও গৃহভিত্তিক ব্যবসা মিলিয়ে অতিরিক্ত আয় করতে পারেন।
৪০. প্রশ্ন: কৃষি উদ্যোক্তার মাধ্যমে রপ্তানির সম্ভাবনা কোথায় বেশি?
উত্তর: আম, সবজি, ফুল, চা ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য।
৪১. প্রশ্ন: কৃষি উদ্যোক্তার জন্য প্রযুক্তি কতটা প্রয়োজন?
উত্তর: বাজার বিশ্লেষণ, উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ ও মান উন্নয়নে অপরিহার্য।
৪২. প্রশ্ন: কৃষি উদ্যোক্তা কীভাবে লাভ বাড়াতে পারে?
উত্তর: উৎপাদন বৈচিত্র্য, মানোন্নয়ন ও ভ্যালু অ্যাডিশন করে।
৪৩. প্রশ্ন: কৃষি উদ্যোক্তার জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম কেন জরুরি?
উত্তর: অনলাইন মার্কেটিং, বাজার তথ্য ও সরাসরি ভোক্তার সাথে সংযোগের জন্য।
৪৪. প্রশ্ন: কৃষি উদ্যোক্তা হতে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কেন জরুরি?
উত্তর: প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগবালাই ও বাজার ঝুঁকি সামলাতে।
৪৫. প্রশ্ন: কৃষি উদ্যোক্তা কিভাবে কর্মসংস্থান বাড়ায়?
উত্তর: স্থানীয় শ্রমিক নিয়োগ ও গ্রামীণ শিল্প স্থাপন করে।
৪৬. প্রশ্ন: কৃষি উদ্যোক্তা হতে উদ্ভাবনী চিন্তা কেন জরুরি?
উত্তর: প্রতিযোগিতা টিকিয়ে রাখতে নতুন পদ্ধতি প্রবর্তন জরুরি।
৪৭. প্রশ্ন: কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য নেটওয়ার্কিং কেন দরকার?
উত্তর: বাজার সম্প্রসারণ ও সহযোগিতা বাড়াতে।
৪৮. প্রশ্ন: কৃষি উদ্যোক্তার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা কী?
উত্তর: স্মার্ট ফার্মিং, প্রক্রিয়াজাত পণ্য ও আন্তর্জাতিক বাজার।
৪৯. প্রশ্ন: তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে কী দরকার?
উত্তর: প্রশিক্ষণ, সহজ ঋণ, সরকারি সহযোগিতা ও বাজার সংযোগ।
৫০. প্রশ্ন: কৃষি উদ্যোক্তা দেশের অর্থনীতিতে কী অবদান রাখে?
উত্তর: খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও দারিদ্র্য হ্রাস।
পরিবেশ + কৃষি ব্যবস্থাপনার বাধা-বিপত্তি + পরিবর্তিত খামার পরিকল্পনা (৫০ প্রশ্ন-উত্তর)
অংশ–১: পরিবেশ ও কৃষি (২০ প্রশ্ন-উত্তর)
১. প্রশ্ন: পরিবেশবান্ধব কৃষি কী?
উত্তর: এমন কৃষি ব্যবস্থা যা মাটি, পানি, প্রাণবৈচিত্র্য ও জলবায়ুর ক্ষতি করে না।
২. প্রশ্ন: কৃষির কারণে পরিবেশের কী ধরনের ক্ষতি হয়?
উত্তর: মাটির উর্বরতা নষ্ট, জলদূষণ, বন উজাড় ও কার্বন নিঃসরণ।
৩. প্রশ্ন: জলবায়ু পরিবর্তন কৃষিতে কী প্রভাব ফেলে?
উত্তর: খরা, লবণাক্ততা, অনিয়মিত বৃষ্টি ও রোগবালাই বৃদ্ধি।
৪. প্রশ্ন: টেকসই কৃষি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: পরিবেশ সংরক্ষণ করে দীর্ঘমেয়াদি উৎপাদনশীল কৃষি।
৫. প্রশ্ন: কৃষিতে বন উজাড় কেন ক্ষতিকর?
উত্তর: জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয় ও জলবায়ু পরিবর্তন ত্বরান্বিত হয়।
৬. প্রশ্ন: জৈব কৃষি পরিবেশে কী প্রভাব ফেলে?
উত্তর: মাটি ও পানির স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং কার্বন নিঃসরণ কমায়।
৭. প্রশ্ন: কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহার পরিবেশে কী প্রভাব ফেলে?
উত্তর: পানিদূষণ, মাটির ক্ষতি ও মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়।
৮. প্রশ্ন: পানি ব্যবস্থাপনা পরিবেশে কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: অতিরিক্ত সেচে ভূগর্ভস্থ পানির ঘাটতি হয়, সঠিক ব্যবস্থাপনা তা কমায়।
৯. প্রশ্ন: কৃষিতে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ব্যবহার কেন দরকার?
উত্তর: সৌর ও বায়ুশক্তি ব্যবহার পরিবেশবান্ধব ও খরচ কমায়।
১০. প্রশ্ন: পরিবেশবান্ধব সার কী কী?
উত্তর: জৈব সার, কম্পোস্ট, ভার্মি কম্পোস্ট, বায়োফার্টিলাইজার।
১১. প্রশ্ন: কৃষি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন জরুরি?
উত্তর: অপচনশীল বর্জ্য পরিবেশ দূষণ রোধ করে এবং জ্বালানি উৎপাদনে কাজে লাগে।
১২. প্রশ্ন: কৃষিতে কার্বন ফুটপ্রিন্ট কীভাবে কমানো যায়?
উত্তর: জৈব সার ব্যবহার, কম পানি সেচ, সৌরশক্তি ব্যবহার ও পুনঃবনায়ন।
১৩. প্রশ্ন: কৃষিতে পরিবেশবান্ধব পোকা দমন পদ্ধতি কী কী?
উত্তর: ফেরোমন ফাঁদ, বায়োলজিক্যাল কন্ট্রোল ও ট্র্যাপ ক্রপ।
১৪. প্রশ্ন: কৃষি ও জীববৈচিত্র্যের সম্পর্ক কী?
উত্তর: জীববৈচিত্র্য ফসল উৎপাদনে সহায়ক; কৃষি সঠিকভাবে না হলে জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়।
১৫. প্রশ্ন: গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে কৃষির ভূমিকা কী?
উত্তর: ধানক্ষেত, গবাদিপশুর গ্যাস ও সার প্রয়োগের মাধ্যমে।
১৬. প্রশ্ন: পরিবেশবান্ধব কৃষি চর্চার উপকারিতা কী?
উত্তর: মাটি রক্ষা, দীর্ঘমেয়াদি ফলন বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য উৎপাদন।
১৭. প্রশ্ন: কৃষি পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় সরকারের ভূমিকা কী?
উত্তর: নীতিমালা প্রণয়ন, ভর্তুকি প্রদান ও সচেতনতা বৃদ্ধি।
১৮. প্রশ্ন: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (SDGs) কৃষির ভূমিকা কী?
উত্তর: ক্ষুধা মুক্ত বিশ্ব, দারিদ্র্য হ্রাস ও পরিবেশ সংরক্ষণ।
১৯. প্রশ্ন: কৃষিতে পানি দূষণ কিভাবে হয়?
উত্তর: রাসায়নিক সার ও কীটনাশক নদী ও ভূগর্ভস্থ পানিতে মিশে।
২০. প্রশ্ন: ভবিষ্যতে পরিবেশবান্ধব কৃষি কেন অপরিহার্য?
উত্তর: খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে।
অংশ–২: কৃষি ব্যবস্থাপনার বাধা-বিপত্তি (১৫ প্রশ্ন-উত্তর)
২১. প্রশ্ন: কৃষি ব্যবস্থাপনায় প্রধান বাধা কী?
উত্তর: অর্থের অভাব, প্রযুক্তি ঘাটতি, শ্রম সংকট ও বাজার অনিশ্চয়তা।
২২. প্রশ্ন: কৃষি জমি কমে যাওয়ার কারণ কী?
উত্তর: শিল্পায়ন, নগরায়ন ও অনিয়ন্ত্রিত ভূমি ব্যবহার।
২৩. প্রশ্ন: কৃষি শ্রমিক সংকট কেন বাড়ছে?
উত্তর: তরুণদের শহরমুখী হওয়া ও কৃষি কাজের কষ্টসাধ্যতা।
২৪. প্রশ্ন: কৃষি উৎপাদনে জলবায়ুর বাধা কী?
উত্তর: খরা, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও লবণাক্ততা বৃদ্ধি।
২৫. প্রশ্ন: কৃষি ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তি গ্রহণে বাধা কী কী?
উত্তর: কৃষকের অজ্ঞতা, প্রশিক্ষণের অভাব ও মূলধনের সংকট।
২৬. প্রশ্ন: কৃষি বিপণনে প্রধান বাধা কী?
উত্তর: মধ্যস্বত্বভোগীর আধিপত্য ও বাজার তথ্যের অভাব।
27. প্রশ্ন: কৃষক কেন প্রক্রিয়াজাতকরণে আগ্রহী হয় না?
উত্তর: পুঁজি সংকট, যন্ত্রপাতির অভাব ও বাজারের সীমাবদ্ধতা।
২৮. প্রশ্ন: কৃষি গবেষণার ফল মাঠে পৌঁছাতে দেরি হয় কেন?
উত্তর: প্রশাসনিক জটিলতা ও সম্প্রসারণ ব্যবস্থার দুর্বলতা।
২৯. প্রশ্ন: কৃষি ব্যবস্থাপনায় নারী কৃষকের বাধা কী?
উত্তর: সামাজিক কুসংস্কার, মূলধন সংকট ও জমির মালিকানা না থাকা।
৩০. প্রশ্ন: কৃষিতে পরিবহন সমস্যা কীভাবে প্রভাব ফেলে?
উত্তর: সময়মতো বাজারে পণ্য পৌঁছায় না, ফলে অপচয় হয়।
৩১. প্রশ্ন: কৃষিতে বিদ্যুৎ সমস্যার প্রভাব কী?
উত্তর: সেচ ব্যাহত হয় ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়।
৩২. প্রশ্ন: কৃষি ব্যবস্থাপনায় তথ্য ঘাটতি কেন সমস্যা?
উত্তর: বাজারদর, আবহাওয়া ও প্রযুক্তি সম্পর্কে সময়মতো তথ্য না পাওয়া।
৩৩. প্রশ্ন: কৃষিতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কীভাবে বাধা হয়?
উত্তর: কীটনাশক ব্যবহারে কৃষক ও ভোক্তার স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে।
৩৪. প্রশ্ন: কৃষি ব্যবস্থাপনায় সরকারি নীতির সীমাবদ্ধতা কী?
উত্তর: নীতির অসঙ্গতি, ভর্তুকি বণ্টনে বৈষম্য ও পরিকল্পনার ঘাটতি।
৩৫. প্রশ্ন: কৃষি ব্যবস্থাপনায় অবকাঠামোগত সমস্যা কী?
উত্তর: সড়ক, গুদাম, কোল্ড স্টোরেজের অভাব।
অংশ–৩: পরিবর্তিত খামার পরিকল্পনা (১৫ প্রশ্ন-উত্তর)
৩৬. প্রশ্ন: পরিবর্তিত খামার পরিকল্পনা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: আধুনিক প্রযুক্তি, পরিবেশ ও বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুনভাবে খামার সাজানো।
৩৭. প্রশ্ন: কেন খামার পরিকল্পনা পরিবর্তন প্রয়োজন?
উত্তর: জলবায়ু পরিবর্তন, বাজার চাহিদা ও প্রযুক্তিগত উন্নতির কারণে।
৩৮. প্রশ্ন: সমন্বিত খামার ব্যবস্থা কী?
উত্তর: একই খামারে ফসল, মাছ, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি একসাথে চাষ করা।
৩৯. প্রশ্ন: উল্লম্ব খামার (Vertical farming) কী?
উত্তর: ভবনের ভেতর স্তরে স্তরে ফসল উৎপাদন পদ্ধতি।
৪০. প্রশ্ন: হাইড্রোপনিক্স খামার কী?
উত্তর: মাটি ছাড়া পুষ্টি দ্রবণে ফসল উৎপাদন ব্যবস্থা।
৪১. প্রশ্ন: অ্যাকোয়াপনিক্স খামার কী?
উত্তর: মাছ চাষ ও সবজি উৎপাদনকে একসাথে করা হয়।
৪২. প্রশ্ন: খামার পরিকল্পনায় জৈব কৃষি কেন গুরুত্ব পাচ্ছে?
উত্তর: স্বাস্থ্যকর খাদ্য চাহিদা ও পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য।
৪৩. প্রশ্ন: জলবায়ু সহনশীল খামার পরিকল্পনা কী?
উত্তর: খরা, লবণাক্ততা ও বন্যা সহনশীল জাত ব্যবহার করে খামার সাজানো।
৪৪. প্রশ্ন: স্মার্ট ফার্মিং কী?
উত্তর: সেন্সর, ড্রোন, IoT, AI ব্যবহার করে আধুনিক খামার ব্যবস্থাপনা।
৪৫. প্রশ্ন: খামার পরিকল্পনায় বাজার বিশ্লেষণ কেন জরুরি?
উত্তর: বাজারে যে পণ্যের চাহিদা বেশি, সেটিই উৎপাদন করা যায়।
৪৬. প্রশ্ন: পরিবর্তিত খামারে নারীর ভূমিকা কী?
উত্তর: বাড়িভিত্তিক উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা কার্যক্রম।
৪৭. প্রশ্ন: কৃষক সমবায় খামার পরিকল্পনায় কীভাবে সহায়ক?
উত্তর: যৌথ বিনিয়োগ, উৎপাদন ভাগাভাগি ও বাজারে শক্ত অবস্থান।
৪৮. প্রশ্ন: পরিবর্তিত খামার পরিকল্পনায় প্রযুক্তির ভূমিকা কী?
উত্তর: উৎপাদন বাড়ানো, খরচ কমানো ও পরিবেশ সুরক্ষা।
৪৯. প্রশ্ন: খামার পরিকল্পনায় ফসল বৈচিত্র্য কেন দরকার?
উত্তর: আয় বাড়াতে ও ঝুঁকি কমাতে।
৫০. প্রশ্ন: ভবিষ্যতের খামার পরিকল্পনা কেমন হবে?
উত্তর: স্মার্ট, পরিবেশবান্ধব, প্রযুক্তিনির্ভর ও বাজারমুখী।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url