ভূমিকা
প্রিয় পাঠক, আপনি কি গলা ব্যথা নিয়ে চিন্তিত? আপনি কি গলা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় বা ঠান্ডায় গলা ব্যথা হলে করণীয় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করব গলা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় বা ঠান্ডায় গলা ব্যথা হলে করণীয় এবং গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে। বর্ষায় বা শীতে গলা ব্যথা একটি কমন সমস্যা। ঠান্ডা আবহাওয়ায় খুব সহজে গলা বসে যায় বা ব্যথা করে। পাঠকের মধ্যে অনেকেই জানতে চান গলা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।
ঠান্ডায় গলা ব্যথা হলে করণীয়
ঠান্ডায় গলা ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা। ঠান্ডায় গলা ব্যথা হলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:
গলাকে বিশ্রাম দিন। কথা বলা, চিৎকার করা, বা ধূমপান করা থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকুন।
হালকা গরম পানির সঙ্গে লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করুন। এটি গলায় জমে থাকা শ্লেষ্মা বের করে দিতে সাহায্য করে।
গরম স্যুপ, গরম পানির সঙ্গে লেবু বা মধু মিশিয়ে পান করুন। এটি গলার ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।
চকলেট বা লজেনস চুষুন। এটি গলার ব্যথা উপশমে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
অ্যান্টিহিস্টামিন বা ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করুন। এগুলি গলা ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।
ঠান্ডায় গলা ব্যথার জন্য কিছু ঘরোয়া প্রতিকারও রয়েছে। যেমন:
আদা চা: আদা একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা গলা ব্যথা উপশমে সাহায্য করে। আদা চা তৈরি করতে, এক চা চামচ আদা কুচি এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে ১০-১৫ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখুন। তারপর চা ছেঁকে নিন এবং মধু বা লেবুর রস দিয়ে পান করুন।
লবঙ্গ: লবঙ্গ একটি শক্তিশালী অ্যান্টিসেপটিক যা গলা ব্যথা উপশমে সাহায্য করে। লবঙ্গের তেল দিয়ে গলায় ম্যাসাজ করুন। অথবা, এক চা চামচ লবঙ্গ গুঁড়া এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে গড়গড়া করুন।
মধু: মধু একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা গলা ব্যথা উপশমে সাহায্য করে। মধু দিয়ে গলা চুষুন। অথবা, গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করুন।
ঠান্ডায় গলা ব্যথা হলে যদি নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন:
- জ্বর
- শরীরে ব্যথা
- শ্বাসকষ্ট
- গলায় ফোলাভাব
- ঢোক গিলতে অসুবিধা
ঠান্ডায় গলা ব্যথার জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মেনে চলা যেতে পারে:
- হাত নিয়মিত ধুয়ে ফেলুন।
- ঠান্ডা থেকে নিজেকে রক্ষা করুন।
- প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন।
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
For the more information:
This unique love story chronicles the relationship between Henry, who involuntarily travels through time, and Clare, who must navigate the challenges of loving someone who cannot control when he is present.
আরো পড়ুনঃ হালাল পথে ইনকাম করার সেরা ২০ উপায়
এবং প্রচুর পরিমাণ ধৈর্য এবং পরিশ্রম করে কাজ করতে হবে। যদি এই তিনটি গুণ আপনার মধ্যে থাকে তাহলে আপনিও গুগল থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। চলুন এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
গলা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
গলা ব্যথার জন্য একাধিক কারণ থাকতে পারে। গলা ব্যথার উপসর্গ গুলোর মধ্যে কিছু খেতে গলা ব্যথা, গলায় অস্বস্তিকর অনুভূতি, গলায় জ্বালাপোড়া, ঘামাচি, কথা বলতে অসুবিধা, গলা ফুলে যাওয়া থাকতে পারে।
পাঠকের অনেকেই জানতে চাই কোন ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে গলা ব্যথা কমানো যায়। আজকের আর্টিকেলে আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নিই দ্রুত গলা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।
জ্বর, সর্দি-কাশি এগুলো কমন সমস্যা । ছোট বড় প্রায় সকলেই এ সমস্যায় ভুগে থাকেন। এ সমস্যা গুলোর কারণে অনেকেরই গলা ব্যথা করে। এছাড়া যাদের টনসিলের সমস্যা আছে, অল্প ঠান্ডায় তাদের গলা ব্যথা বেড়ে যায়। গলা ব্যথা অনেক কষ্টদায়ক এবং অস্বস্তিকর অবস্থার কারণ হয়। গলা ব্যথা হলে খাবার ও পানি খেতে অনেক সমস্যা হয়। তবে গলা ব্যথা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নাই।
আমরা গলা ব্যথার জন্য বিভিন্ন সময় ঘরোয়া উপায় জানার চেষ্টা করি । অনেক খোঁজাখুঁজির পর সঠিক তথ্য না পাওয়ার কারণে বিভিন্ন সময় ফার্মেসি থেকে ওষুধ সেবন করি। যা মোটেও সঠিক নয়। আজকে আপনাদের জানাবো গলা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।
আজকের আর্টিকেলটি পড়লে গলা ব্যথার ঘরোয়া উপায় নিয়ে আপনি নিশ্চিন্ত হতে পারবেন। তবে আরেকটি কথা, অতিরিক্ত গলা ব্যথার জন্য অবশ্যই একটি ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করবে।
গলা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
গলা ব্যথা কমানোর জন্য অনেকগুলো ঘরোয়া উপায় রয়েছে। এখন আলোচনা করব গলা ব্যথা কমানোর সবচেয়ে কার্যকরী উপায় গুলো নিয়ে। চলুন তাহলে জেনে নেই গলা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।
মধু খানঃ গলার ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে মধুকে ঘরের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা খুবই কার্যকরী একটি পদ্ধতি। মধুতে এন্টি -ইনফ্লেমেটরি এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা গলার ঝিল্লিতে উৎপন্ন ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসকে ধ্বংস করতে সহায়তা করে।
আপনি প্রতিদিন দুই চামচ মধু খেতে পারেন বা গরম ভেষজ চায়ে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। তাছাড়াও আপনি হালকা গরম পানির সাথে ২ চামচ মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।
হালকা গরম পানিঃ এক কাপ হালকা গরম পানিতে অল্প পরিমাণে লবণ মিশিয়ে গলায় গড়গড় করতে পারেন। এটাকে গারগল করা বলে। আপনি দিনে দুইবার এ পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার গলা ব্যথা বা খুশখুশ থেকে খুব দ্রুত আরাম এনে দেয়।
এ পদ্ধতি আপনি যে কোন সময় ব্যবহার করতে পারেন। এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই এবং এটি গলায় আটকে থাকা ব্যাকটেরিয়া খুব দ্রুত ধ্বংস করে। নিজেকে সুস্থ এবং হাইড্রেটেড রাখতে সারা দিনে বেশি বেশি পানি পান করতে ভুলবেন না।
রসুন খানঃ রসুন এ রয়েছে প্রাকৃতিক এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। এতে অ্যালিসিন নামক একটি অর্গানসালফার যৌগ রয়েছে। যা গলা ব্যথা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত রসুন খেলে সর্দি কাশি সহ বিভিন্ন ভাইরাস সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কাঁচা রসুনে রয়েছে অতিরিক্ত অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য। তাই গলা ব্যথার সময় রসুন খেলে প্রদাহ বিরোধী উপাদানগুলো দ্রুত কাজ করতে সক্ষম।
আদা চা খানঃ গলা ব্যথা কমানোর জন্য আদা চা একটি অত্যন্ত কার্যকরী পদ্ধতি। এটি সাধারণ চা তৈরির নিয়মের মতো তৈরি করতে পারেন। তবে আদার পরিমাণ এর বিষয়ে খেয়াল রাখুন যেন এটি খুব বেশি পরিমাণে না হয়। আদার পরিমাণ বেশি হলে ঝাঁজে সমস্যা হতে পারে। চায়ের সাথে হালকা গোলমরিচের গুড়া মিশিয়ে স্বাদ বাড়িয়ে নিতে পারেন।
তুলসী পাতাঃ তুলসী পাতার কথা আমরা কমবেশি সকলেই জানি। সর্দি কাশি কমাতে তুলসি খুবই কার্যকরী। একটি পাত্রে তুলসী পাতা এবং পানি কিছুক্ষণ ফুটান । কিছুক্ষণ পরে এর সাথে গোলমরিচ লবণ এবং আদা মিশান। এরপর কিছুক্ষণ ফোটানোর পর ছাকনি দিয়ে ছেঁকে হালকা গরম পানি খেয়েফেলুন। এই উপায়ে গলা ব্যথা অনেকটা কমে যাবে।
এগুলো ছাড়াও লেবু পানি, গরম সুপ, দুধের সাথে কিছুটা হলুদ মিশিয়ে পান করতে পারেন। এগুলোও গলা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় হিসাবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত
শীত বা ভাইরাসের আক্রমণ যে কারণেই গলা ব্যথা করুক না কেন তা কখনো আরামদায়ক হতে পারেনা। গলা ব্যথা আক্রান্ত ব্যক্তির কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে আক্রান্ত ব্যক্তির কষ্ট অনেকটা কমাতে সাহায্য করবে।
কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত । চলুন তাহলে জেনে নেই গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে।
গলা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়ে আমরা জেনেছি আদা, রসুন, চা, গরম পানি, তুলসীপাতা ইত্যাদি সম্পর্কে। এগুলো ছাড়াও আমাদের খাবারের প্রতি নজর দিতে হবে। এ সময় খেয়াল রাখতে হবে খাবার যেন নরম হয়। শক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত নয়।
এছাড়াও আপনি ডার্ক চকলেট বা লজেন্স চুষে চুষে খেতে পারেন। এটি গলা ব্যথা কমাতে সহায়ক।
ঢোক গিলতে গলায় ব্যাথা
ঋতু পরিবর্তন এর সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের অসুখ শুরু হতে পারে। বিশেষ করে শীতের শুরু এবং শীতের শেষে বেশি পরিমাণে লক্ষ্য করা যায়। এ সময় অনেকেই ঠান্ডা কাশির সমস্যায় পড়ে। ঠান্ডার কারণে ঢোক গিলতে গলায় ব্যাথা হয়। অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠান্ডা কাশি সাধারণত টনসিলের কারণে হয়ে থাকে। ঠান্ডা লাগলেই মূলত টনসিলের সংক্রমণ হিসেবে ধরা হয়।
টনসিল আমাদের শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি অংশ হিসেবে কাজ করে। ঠান্ডা কাশির ভাইরাস গুলি মূলত টনসিলের সংক্রমনের জন্য দায়ী। জিভের পিছনে, গলার দেয়ালের দুই পাশে গোলাকার পিন্ডের মত কোষগুলি হল টনসিল।
নাক মুখ দিয়ে রোগ জীবাণু গুলোকে পেটে ঢুকতে বাধা দেয় এই টনসিল। তাই টনসিল কে সুস্থ রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এবং অতি দ্রুত গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে গলা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
ঢোক গিলতে গলা ব্যথার ওষুধ
অনেক সময় দেখা যায় ভোগ দিতে গেলে প্রচন্ড পরিমাণে গলা ব্যথা হয়। এতে সাধারণত ঠান্ডা কাশির জন্য হতে পারে এবং অনেক সময় এটি বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয়। যেমনটি বলা যায় ২০১৯ সালে করোনা ভাইরাসের মহামারী উপসর্গ হিসাবে দেখা যেত ঢোক গিলতে গলা ব্যথা হচ্ছে। এমনকি টনসিলের জন্য গলা ব্যথা হয়ে থাকে।
গলা ব্যথা নিয়ে দুশ্চিন্ত হওয়ার কোন কারণ নেই কারণ এটি অন্য রোগের পূর্ব লক্ষণ হিসেবে অনেক সময় দেখা দেয় কিন্তু এটি মারাত্মক কোন সমস্যা নয়।
তবে গলা ব্যথা কে এড়িয়ে যাওয়া যাবেনা। অনেক সময় দেখা যায় ঢোক গিলতে গিয়ে গলা ব্যথা হলে তা এমনিতেই সেরে যায়। কিন্তু অধিক সময় নেওয়ার পরও যদি এ ব্যাথা না সাড়ে তাহলে আপনি আদা পানি খেতে পারেন। আদা পানি গলা ব্যথার জন্য খুব কার্যকরী একটি ঘরোয়া উপায়।
আদা ছোট ছোট টুকরা করে কেটে সাথে এক গ্লাস পানি দিয়ে একটি চুলায় বসিয়ে দিন এবং বেশ কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। পানির পরিমাণ অর্ধেকে নেমে আসলে একটি গ্লাসে ঢেলে হালকা গরম অবস্থায় পানি পান করুন।
দেখবেন গলা ব্যথা সেরে যাচ্ছে। আবার অনেক সময় দেখা যায় এ ধরনের টোটকা কাজে লাগছে না তখন আপনি ওষুধ খাওয়ার চিন্তা করেন। তবে অবশ্যই আপনি একটি কথা মাথায় রাখবেন গলা ব্যথা অনেক সময় বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা যায় তাই এই অবস্থায় আপনার একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা উচিত।
কিন্তু আপনার কিছু গলা ব্যথা ওষুধের নাম জেনে থাকা উচিত। নিচে ঢোক গিলতে গলা ব্যথার ওষুধ এর কিছু নাম উল্লেখ করা হলো
- Paracetamol renova
- Tospel
- Doxin
- Dextrim
- Doxycycline
এছাড়াও গলা ব্যথা সারানোর জন্য অনেক সময় এন্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে থাকে। এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে তাই অবশ্যই আপনাকে এটি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। আর দ্রুত গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে আপনি গলা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করতে পারেন এতে সাময়িকভাবে আপনার ব্যথা কমতেও পারে।
ঠান্ডায় গলা ব্যথা হলে করণীয়
এখন চারিদিকে অল্প অল্প করে ঠান্ডা পড়া শুরু হয়ে গেছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে আমাদের অনেকেরই ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে। ঠান্ডা কারণে হতে পারে আপনার গলা ব্যথা। সাথে দেখা যায় খুস খুস কাশি। ঠান্ডা আমাদের জন্য বেশ অস্বস্তিদায়ক একটি পরিস্থিতি তৈরি করে।
কারণ বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় ঠান্ডা থেকে গলা ব্যথা হচ্ছে এবং এই গলা ব্যাথার কারণে আমাদের কথা বলতে এবং ঢোক গিলতে কষ্ট হয়। গলা ব্যথা থেকে রেহে পাওয়ার জন্য কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। ঠান্ডায় গলা ব্যথা হলে করণীয় কি এ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
লেবুর রসঃ গলা ব্যথা দূর করতে আপনি লেবুর রস খেতে পারেন। এক গ্লাস গরম পানি নিয়ে তার সাথে একটি লেবুর রস মিশিয়ে এবং এক চা চামচ মধু দিয়ে মিস করে লেবু পানি খেতে পারেন। এটি আপনার টনসিলের ও গলা ব্যথা দূর করবে।
লবণ পানিঃ গলা ব্যাথার সমস্যা দূর করার জন্য খুব কার্যকরী একটি ঘরোয়া উপায় হল লবণ পানি। এটি চিকিৎসকদের দ্বারা প্রমাণিত। গরম পানি নিয়ে এর সাথে এক চামচ পরিমাণ লবণ মিস করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার এ পানি দিয়ে গড়গড়া করুন বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে।
অতিরিক্ত গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে এটি দিনে কয়েকবার করতে পারেন।
মধুঃ মধু ঠান্ডা দূর করার জন্য খুব উপকারী। ঠান্ডায় গলা ব্যথা হলে এটি দূর করার জন্য গরম পানির সাথে মধু মিস করি এটি পান করুন। দেখবেন গলা ব্যথা দূর হয়ে গেছে।
রসুনঃ রসুনের মধ্যে পাওয়া যায় অ্যালিসিন। যে ব্যাকটেরিয়ার কারণে গলা ব্যথা শুরু হয় অ্যালিসিন সে ব্যাকটেরিয়ার গুলোকে মেরে ফেলতে সহায়ত করে। যার ফলে খুব দ্রুত গলা ব্যথা সেরে যায়।
আদাঃ আদা পানি গলা ব্যথার জন্য খুব কার্যকরী একটি ঘরোয়া উপায়। আদা ছোট ছোট টুকরা করে কেটে সাথে এক গ্লাস পানি দিয়ে একটি চুলায় বসিয়ে দিন এবং বেশ কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। পানির পরিমাণ অর্ধেকে নেমে আসলে একটি গ্লাসে ঢেলে হালকা গরম অবস্থায় পানি পান করুন দেখবেন গলা ব্যথা সেরে যাচ্ছে।
এর ফলে দেখা যায় আমাদের কথা বলতে, খাবার খেতে ও ঢোক গিলতে খুব কষ্ট হয়। তাই আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের কিছু ঘরোয়া পদ্ধতির কথা বলেছি যেগুলো আপনার ব্যবহারের মাধ্যমে গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
শেষ কথাঃ গলা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করেছি গলা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। আমাদের শরীরের প্রত্যেকটা অংশই খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং একই সাথে আরেকটি যেন সম্পর্কযুক্ত। শরীরের কোন একটি অংশে ব্যথা সৃষ্টি হলে মনে হয় পুরো শরীরটাই আমাদের ব্যথা দিচ্ছে। ঠিক তেমনি ভাবে গলা ব্যথা শুরু হলে এটি আমাদের একটি অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি করে।
আমাদের এই আর্টিকেলটি কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url