আমাদের সম্পর্কে

তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে কৃষি নয়, আধুনিক কৃষি এই ব্রত নিয়ে আমাদের যাত্রা। আর আধুনিক কৃষি বিপ্লের জন্য চাই পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত, আমরা মনে করি শুধু মাত্র সঠিক, শুদ্ধ এবং গবেষনালব্ধ তথ্য-উপাত্তই পারে এ দেশে আমাদের স্বপ্নের প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক কৃষিকে বেগবান করতে এবং দেশকে এগিয়ে নিতে। আমাদের কৃষক সমাজ আজও পৈতৃকসূত্রে প্রাপ্ত জ্ঞান আর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কৃষি কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার এখনো চোখে পড়ার মত তেমন কোন অগ্রগতি লাভ করেনি। তবে কৃষিতে গবেষণা যে চলছে না তা কিন্তু নয়, গবেষণা হচ্ছে প্রতিনিয়ত এবং আমাদের দেশের অনেক যোগ্য ও প্রতিথযশা গবেষকরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং ভাল ফল ও পাচ্ছেন কিন্তু যা হচ্ছে না, তা হল প্রচার। কথায় আছে প্রচারে প্রসার। কোন কোন ক্ষেত্রে গবেষণার ফলাফল জার্নাল বা পাবলিকেশানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে, এবং সেগুলো সাধারণ কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে না। আমরা চাচ্ছি আমাদের গবেষকদের এই অর্জনগুলো তৃনমুল পার্যায়ে পৌছে দিতে। কৃষি কাজে আধুনিক ধ্যান-ধারনা, কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার এবং জমিতে বীজ, সারসহ অন্যান্য উপদানের সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যের সন্নিবেশন করার চেষ্টা করা হয়েছে আমাদের এই ওয়েব সাইটে। দেশের মানুষের আর্থসামাজিক মানোন্নয়নের জন্য তাদেরকে জমিভিত্তিক চাষবাসের পাশাপাশি একইসাথে সমন্বিত চাষাবাদ, মৎস্য চাষ, গবাদি পশু ও পাখি পালনেও উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিষয় ভিত্তিক তথ্যের সমাবেশ ঘটানো হয়েছে। সেখানে শুধু উৎপাদন নয়, উৎপাদিত পন্য যেন ভাল বাজারদর পায় সে জন্য আমরা প্রচলিত বাজার ব্যবস্থা থেকে একটু ভিন্নরকম কিন্তু উন্নত দেশগুলোতে প্রচলিত ভার্চুয়াল বাজার ব্যবস্থার উদ্যেগ গ্রহন করেছি। আমাদের বিশ্বাস উক্ত বাজারে আপনাদের স্বতফূর্ত অংশগ্রহন আমাদের দেশের ই-কৃষিকে আরো একধাপ এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে এবং কৃষি পন্য বিপনন ভিত্তিক ই-কমার্সের ভীত সুদৃঢ় হবে, যার মাধ্যমে পরবর্তীতে আমাদের উৎপাদিত পন্য দেশের বাইরে পাঠানো আরো সহজতর হবে।বর্তমানে আমাদের উৎপাদিত পন্য দেশের বাইরে পাঠানো হচ্ছে এবং সুনাম অর্জন করছে। অনেক পন্য জিআই সনদ পেয়েছে। শিক্ষিত তরুন সমাজকে কৃষিতে আগ্রহী করার নিমিত্তে উক্ত সেক্টরের সফল ব্যক্তিদের সাফল্যগাথাঁ প্রতিবেদন প্রচার করা হচ্ছে। আমরা চাচ্ছি আমাদের মেধাবী তরুনরা শুধু চাকরির পিছনে না ছুটে কৃষিতে অবদান রাখুক, কৃষি উদ্যোগতা হিসেবে গড়ে উঠুক। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করুক, কৃষি ব্যবসা বানিজ্যে মেধা খাটিয়ে সমাজে ব্যবসায়ী হিসাবে আত্নপ্রকাশ করুক। তাই কৃষি শিল্পে কিছু করার আগ্রহ নিয়ে যারাই চিন্তা-ভাবনা বরছেন, তারা আমাদের সাথে নিঃসংকোচে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা আপনাদেরকে সহায়তা করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত আছি।

কৃষির সম্প্রসারনে আমাদের করণীয়

জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারনে প্রতিনিয়তই আমাদের দেশের আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। বর্ধিত জনসংখ্যার বাসস্থানের প্রয়োজনেই মূলতঃ কৃষি জমির পরিমাণ কমলেও বাড়ছে মানুষের খাদ্যের চাহিদাসহ অন্যান্য মৌলিক চাহিদা। ফলে ব্যাপক জনগোষ্ঠির জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক চাহিদা ও খাদ্যের চাহিদা বর্তমান আবাদযোগ্য জমি থেকে প্রাপ্ত ফলন দ্বারা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রথমতঃ কৃষি জমির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে এবং দ্বিতীয়তঃ সম্পদের সঠিক ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে না বিধায় কৃষকের আয় বাড়ছে না। যার কারণে কৃষি প্রধান আমাদের এই দেশের মোট জনসংখ্যার অধিকাংশই খাদ্যের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে দূরাবস্থায় জীবন-যাপন করছে। এমতাবস্থায় কৃষি জমি ও সম্পদের সঠিক ও সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমাদেরে এই বাংলাদেশ কৃষি নির্ভরশীল দেশ। অথচ আমরা দিন দিন কৃষি থেকে দুরে সরে যাচ্ছি, এবং সনাতন পদ্ধতিতে আটকে আছি। শিল্প নির্ভর সংস্কৃতির সাথে তাল মিলানোর আপ্রান প্রতিযোগিতা আমাদের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু প্রতি বছরই খাদ্য ঘাটতি আমাদের কে মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, কৃষির প্রয়োজনীয়তার কথা এবং এর ব্যবহার। তাই কৃষি কে আর কৃষকের মধ্যে সীমাবদ্ব রাখার কোন অবকাশ নেই। আজকের কৃষি একটা শিল্প আর এ কৃষি শিল্পে অংশগ্রহন করার সুয়োগ রয়েছে দেশের প্রতিটি মানুষের। তাই আসুন আমরা প্রত্যেকে কৃষিতে কিছু না কিছু অবদান রাখি এবং আমাদের কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আমরা আমাদের বাড়ির ছাদ , ঘরের বারান্দা, সামনের উঠোন অথবা কোন ফসলি জমি যে খানেই সম্ভব গড়ে তুলি ছোট্ট একটি কৃষি খামার আর অবদান রাখি সামান্যতম হলে ও দেশের খাদ্য ঘাটতি মোচনে। এখন ভাবছেন করবেন কিন্তু কিভাবে ? প্রয়োজনীয় তথ্য যে আপনার কাছে নেই। এ কথা সত্য যে অনেকের মধ্যে অপরিসীম আগ্রহ থাকা সত্বেও শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে নিজের পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে আসেন। বঞ্চিত হন সকল সুবিধা এবং সবুজ-শ্যামলের হাতছানি থেকে। তাই আপনাকে একধাপ এগিয়ে দিতে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য নিয়ে আপনার পাশে আছি আমরা “কৃষি সিক্রেটস ডটকম” আমাদের ওয়েব সাইটে সন্নিবেশিত তথ্যসমূহ ছাড়াও আপনি আরো কি ধরনের তথ্য চান তা যদি অনুগ্রহ করে আমাদের কে জানান তাহলে আপনি এবং সকল ইন্টারনেট ব্যাবহারকরী উপকৃত হবে। আপনার মতামত জানিয়ে আমাদের কে ই-মেইল করতে পারেন।

গোপনীয়তা নীতি এবং প্রশ্ন ও উত্তর

আজ দেশের সর্ব বৃহৎ কৃষি তথ্য ভান্ডার এবং কৃষি ই-কমার্স ‘কৃষি সিক্রেটস শপ’ গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষায় শতভাগ সতর্ক এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে আপোষহীন। কৃষি সিক্রেটস নিবন্ধিত কোন গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য কিংবা ইমেইল ও মোবাইল নাম্বার অন্য কারো সাথে শেয়ার করা হয় না। এমনকি ফেসবুক মেসেঞ্জারের তথ্য সমূহ পর্যন্ত পর্যাপ্ত নিরাপত্তায় সংরক্ষণ করা হয়।

প্রশ্ন: কৃষি সিক্রেটস মানুষকে কি সেবা দেয়?

উত্তর: কৃষি সিক্রেটস বাংলাদেশের মানুষকে একদিকে যেমন বিনামুল্যে কৃষি তথ্য সেবা দিয়ে থাকে অন্যদিকে কৃষি ই-কমার্স কৃষি সিক্রেটস শপের মাধ্যমে সারা বাংলার কৃষি মনা মানুষদের জন্য তাদের প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্য ও সরঞ্জাম সুলভ মুল্যে ক্রয়ের ব্যবস্থা রেখেছে।

প্রশ্ন: কৃষি সিক্রেটস শপে কি ধরনের পণ্য বিক্রি হয়?

উত্তর: কৃষি সিক্রেটস শপ যেহেতু কৃষি ভিত্তিক ই-কমার্স তাই এখানে শুধু মাত্র কৃষি সংশ্লিষ্ট পণ্য বিক্রি হয়।

প্রশ্ন: কৃষি সিক্রেটস শপ থেকে পণ্য কিনতে হলে কি করতে হবে?

উত্তর: কৃষি সিক্রেটস শপ থেকে কোন পণ্য কিনতে চাইলে ওয়েবসাইটে একাউন্ট তৈরি করে Cart করার মাধ্যমে কেনা যাবে। এছাড়া ফেসুবক পেইজে মেসেজ দিয়ে, ইমেইলে যোগাযোগ করে এবং ফোনে অর্ডার দিয়ে পণ্য ক্রয় করা যাবে।

প্রশ্ন: কৃষি সিক্রেটস থেকে কি কৃষি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ পাওয়া যাবে?

উত্তর: কৃষি সিক্রেটস থেকে কৃষি বিষয়ক কোন বিশেষজ্ঞ পরামর্শ প্রদান করা হয় না। শুধুমাত্র কৃষি সিক্রেটস কৃষি তথ্য ভান্ডারে যেসব তথ্য দেয়া আছে সেগুলো পড়তে পারবেন।

প্রশ্ন: কৃষি সিক্রেটস শপ থেকে পণ্য ক্রয়ে কিভাবে টাকা পরিশোধ করা যাবে?

উত্তর: কৃষি সিক্রেটস শপ থেকে পণ্য ক্রয়ে আপনি এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র বিকাশ, নগদ ও রকেটে টাকা প্রদান করতে পারবেন। ভবিষ্যতে অর্থ প্রেরণের অন্যান্য মাধ্যম যুক্ত করা হবে।

প্রশ্ন: কৃষি সিক্রেটস শপ থেকে কি ক্যাশ অন ডেলিভারীতে পণ্য ক্রয় করা যাবে?

উত্তর: কৃষি সিক্রেটস শপ থেকে ক্যাশ অন ডেলিভারীতে কোন পণ্য বিক্রি করা হয় না। তবে ক্ষেত্র বিশেষে ২০ শতাংশ টাকা অগ্রীম প্রদান সাপেক্ষে বাকী অর্থ ক্যাশ অন ডেলিভারীতে দেয়ার সুযোগ রয়েছে।